জরুরি খবর
যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও মানিকগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, ইছামতিসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদীর পানি। গত এক সপ্তাহে আড়াই হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল তলিয়ে গেছে নতুন পানিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানান, ২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির বোনা আমন, ৩৫ হেক্টর জমির আউশ, ১৮০ হেক্টর জমির ভুট্টা, ৫০ হেক্টর জমির তিল ও ৫ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে হরিরামপুরে ৮০৩ হেক্টর, ঘিওরে ৭৩২ হেক্টর ও শিবালয়ে ৬৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়েছে। এছাড়া, দৌলতপুরে ৩৪০ হেক্টর ও সাটুরিয়ায় ১৪৯ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি আসা-যাওয়ার কারণে গত একমাসে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি স্থানে ভাঙন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পদ্মাপাড়ের হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও ধুলসুরা, যমুনা পাড়ের দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা, চরকাটারী ও আমতলী, শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট, নেহালপুর, আরুয়া-কুষ্টিয়া, ধলেশ্বরী নদী পাড়ের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, নারচী, শ্রীদামনগর বাজার ও কুস্তা, সাটুরিয়া উপজেলার চরতিল্লি, বরাইদ, ছনকা বরাইদ এবং কালীগঙ্গা নদীপাড়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেংরই, পাঁছবারইল ও দক্ষিণ চইল্যা এলাকার পাঁচ শতাধিক বসত বাড়ি, আবাদি জমি, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বর্ষা মৌসুম শেষে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই কর্মকর্তা আরো জানান।
Tags
দেশের খবর